Friday, June 30, 2017

কষ্টে অর্জিত সম্পদ চারটি কারনে নষ্ট হয়ে যায়


মানব জীবন হচ্ছে খুবই দুর্লব জীবন। মানুষ জন্ম গ্রহন করার পর তকে সমাজের সাথে চলন ফিরন করতে হই।  কারন, মানুষ সামাজি জীব। যদি কেউ পারিবারিক ভাবে সুখী হতে চাই তাহলে তাকে সামাজিক ভাবে সুখী হতে হবে। আর যদি সমাজ সুখী হয় তাহলে গ্রাম সুখী হবে। গ্রাম সুখী হলে একটি ইউনিয়ন সুখী হবে। এভাবে একটি দেশ সুখী হতে পারে। বর্তমান সময়ে মানুষ খুব নিজেকে দুঃখী মনে করে। কিন্তু কি কারনে নিজেকে দুঃখী মনে করে সেই নিজেই জানে না। তাই সবার আগে প্রয়োজন যথা লাভে সন্তুষ্ঠ। কারন, মানুষের মনের মধ্যে যে লোভ লালসা বেড়ে গেছে এই রকম চললে সামনে আর দুঃখ ভোগ করতে হবে। তাই প্রত্যেক মানুষের চারটি জিনিস অবশ্যই বর্জন করতে হবে। তা না হলে পারিবারিক ভাবে সে সুখী হতে পারবে না। 

১. মদ খাওয়া,
২. জুয়া খেলা,
৩. পর নারীর প্রতি আসক্ত (পরকীয়া),
৪. অসৎ বন্ধুর সাথে মেলামেশা,

এই চারটি জিনিস যে পুরুষ বর্জন করতে পারবে সে পারিবারিক ভাবে সুখী হতে পারবে। এবং তার কষ্টে অর্জিত টাকা কোন দিন সহজে নষ্ট পারবে না।

Tuesday, June 13, 2017

রাঙ্গামাটি মাটি চাপায় ৩০-৩৫ জনের মৃত্য!

অতি বর্ষনে পাহাড় ধসের করুন । চিত্র-  সুত্র- ফেসবুক

দেশের উপর বয়ে যাওয়া মেঘের কারনে সেব জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে। তানা ২/৩ দিন ধরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে ও বন্দর নগরী চট্টগ্রামে। বর্তমানে আবহাওয়া অফিস সব বন্দর গুলোকে ৩ নাম্বার সংকেত বলৎবট রেখেছে। আবহাওয়া অফিস বলছে এই ধারাই আরো দুই তিন দিন বৃষ্টি হতে পারে।
মাটি চাপায় মারা যাওয়া আদিবাসী নারী ।সুত্র-ফেসবুক
রাঙ্গামাটিতে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ার কারনে আজ সকাল থেকে পাহাড় ধস নামতে শুরু করে। রাঙ্গামাটি শহরের সব এলাকায় প্রায় মাটি ধস নামে। তাই এই সময় বাড়িতে থাকা মানুষ গুলো মাটির চাপা পড়ে মৃত্যু বরন করে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা উল্লেখ করেছেন। মাটির নিচে এখনো অনেক মানুষ আটকা পড়ে আছে। বেসরকারি ভাবে প্রায় বর্তমান মৃতের সংখ্যা ৫০-৬০ উপরে হবে। এই সংখ্যা বাড়তেও পারে বা কমতে পারে।



স্থানীয় জনগন অভিযোগ করছে স্থানীয় প্রশাসনকে। যদি প্রশাসন আগে ভাগে জানিয়ে দিত যে পাহাড় ধসের হওয়ার সম্ভবনা আছে। তাহলে লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ে আশ্রয় গ্রহন করতে পারত। আর এই দিকে প্রশাসন বলছে লোকজনকে আগে ভাগেই সব কিছু বলা হয়েছে। তারা নিরাপদ আশ্রয়ে যায় নি বলে এত হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

শহরের মানুষ এমন বৃষ্টি কোন দিন দেখেনি। বেশির ভাগ মানুষ প্রানহানি হয়েছে পেীরসভাস্থ ভেদভেদী এলাকায়। এখানে ৩০-৩৫ জন মানুষ মারা গেছে। শুধু ভেদভেদি নই রাঙ্গামাটি শহরের প্রায় সব জায়গায় পাহাড় ধস হয়েছে। তাই স্থানীয় প্রশাসস সবাইকে নিরাপদ স্থানে থাকার আহবান জানিয়েছে।


অতি বর্ষনে পাহাড় ধসের করুন চিত্র ।  সুত্র- ফেসবুক

Saturday, June 3, 2017

অশান্ত পাহাড়

ভয়ে পালিয়ে যাচ্ছে পাহাড়িরা। আর পিছনে পুড়ছে ঘর-বাড়ি

















পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একটি এলাকা, যা তিনটি জেলা, রাঙামাটিখাগড়াছড়ি, ও বান্দরবান নিয়ে গঠিত।  এটি মুলত পাহাড়ী অঞ্চল। এই অঞ্চলে মুল আদিবাসী হচ্ছে চাকমা, মারমা, তঞ্চঙ্গ্যা, ত্রিপুরা, বম, খিয়াং সহ আরো অনেক ছোট ছোট জন গোষ্ঠি। এরা জাতে মঙ্গলীয় শ্রেনীর। এদের প্রধান জীবিকা হচ্ছে জুম চাষ। সেই পাশাপাশি কৃষি কাজ ও বাগান বাগিছা করা থেকে সব কিছু করছে তারা। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয়। তখন সেই পাহাড়ী অঞ্চলের মানুষদের মাঝে একটি শান্তি বিরাজ করেছিল। কিন্তু যখন ১৯৭২ সালে বর্তমান সরকারের প্রধান আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যখন পাহাড়ীদের বাঙালি হতে আহ্বান জানান। তখন থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের মাঝে একটি অশান্তি বার্তা বয়ে আনে। তখন পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদে যোগ দেন। সাবেক এবং প্রয়াত স্বাধীন চেতনার বীজ শ্রী মানবেন্দ্র নারায়ন লারম (লারমা)। এর ঘোর বিরোধিতা করে সংসদ ওয়াক আউট করেন। সেই সময় মানবেন্দ্র নারায়ন লারমাকে হুশিয়ারি করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পাহাড়ে হাজার হাজার বাঙালি ডুকিয়ে দিয়ে আপনাদের বাঙালি করা হবে। তখন থেকে মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা সশস্ত্র সংগ্রামের প্রয়োজন মনে করে গেরিলা বাহিনী শান্তিবাহিনী নামে একটি সশস্ত্র গ্রুপ করেন। তখন থেকে শান্তি বাহিনী আবির্ভাব হয়। তখন থেকে সশন্ত্র সংগ্রাম শুরু হয়। 


পুড়ে যাওয়ার পর সহায় সম্বল নিয়ে পরিবারের সদস্য
সেই সশস্ত্র সংগ্রামের ভিতরেও বিএনপির প্রধান জিয়াউর রহমান ও স্বৈরশাসক হুইসেন মহাম্মদ এরশাদের আমলে হাজার হাজার বাঙালিকে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেটেল করা হয়। তখন কার সময়ে ১৯৮৬ সাল চলছিল। এর ভিতরে পার্বত্য চট্টগ্রামে কয়েকটি গন হত্যা সংঘটিত হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সেটেলার বাঙালিদের মাধ্যমে প্রথম সংঘটিত হয় কাউখালী উপজেলার সদরে । সেই গনহত্যায় প্রায় ৮০০-১০০০ লোককে হত্যা করা হয়। সেই পর নানিয়াচরের গনহত্যা সেখানেও প্রায় হাজার খানিক মৃত্য বরন করে, এরপর লুংগদুসহ মারিশ্যা লোগাং সহ আরো কয়েকটি বড় বড় গনহত্যা করা হয়।  এরপর ১৯৯৭ সালে শান্তি চুক্তি নামে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেটা বর্তমান সরকারের আমলে হয়েছিল। সেই চুক্তি হওয়ার পর পাহাড়ে বসবাস করা পাহাড়ী ও বাঙালিদের মনে একটি প্রশান্তি বার্তা বয়ে আনবে বলে মনে করা হয়েছিল।



 কিন্তু সেই চুক্তির পর প্রতি বছর হাজার হাজার  পার ভাঙা ও নদী ভাঙা বাঙালিদের পার্বত্য চট্টগ্রামে সেটেল করা হচ্ছে। তাদের কারনে আজ পাহাড়ে অশান্তির বার্তা বয়ে নিয়ে এসেছে। এর পাশাপাশি ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু যে ঘোষানা দিয়েছিল। তার প্রতিফলন ঘঠাতে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী, বাংলাদেশ আর্মট পুলিশ, বাংলাদেশ বিজিবি সহ আরো অনেক সংঘটন। আজ পাহাড়ে বাঙালি আর পাহাড়ি সমান।


এর পর প্রতিবছর নানা জায়গায় সাম্প্রদায়িক হামলা করা হয়। সেই সাথে  বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় বাঙালিরা পাহাড়ীদের ঘর বাড়ি লুটপাঠ করে তারপর বাড়িতে অগ্নি সংযোগ করে দেয়া হয়। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেই। যা দেখে মনে হয় আমরা এখনো ১৯৭১ সালে আছি। এ যেন এক ১৯৭১ সাল। ]





পুড়ে যাওয়া ঘর (সুত্র- ফেসবুক থেকে)


হাজার হাজার পাহাড়ী ভয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। এ যেন এক ১৯৭১ সাল
৩/০৬/২০১৭ইং রোজ শুক্রবার জুমার নামাযের দিন লুংগদুতে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়। শুধু তাই নই ৭০ বছরের এক বৃদ্ধাকে জ্বলন্ত আগুনে দিয়ে মেরে ফেলা হয়। ঘটনার সুত্র পাঠ খাগড়াছড়ি জেলাধীন দিঘীনালা উপজেলাস্থ চার মাইল নামক এক যুবলীগ কর্মীর লাশ পাওয়া যায়। সেই যুবলীগ কর্মীর নাম নয়ন ইসলাম( যুবলীগ কর্মীর সম্পাদক) তাকে কে বা কারা হত্যা করেছে। তার কোন সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া শুধু অনুমানের ভিত্তিতে পাহাড়ীদের  দোষারোপ করা হয়। সেই সুত্র ধরে লুংগদু উপজেলায় গ্রামের গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়।
পাহাড়ে যখন কোন বাঙালির লাশ পাওয়া যায়। তখন সন্দেহ তীর কিন্তু পাহাড়ীদের দিকে তাক করা হয়। সেখানে কোন তদন্ত হয় না। কোন কিছুর আলামত ছাড়া একতরফা ভাবে পাহাড়ীদের দোষারোপ করা হয়। 
 এই ধরনেরর ঘটনা অহর অহর ঘটছে। যা বাহিরে প্রকাশ হচ্ছে না। শুধু তারা সাম্প্রদায়িক উস্কে দিচ্ছে না। প্রতিদিন ঘটছে হত্যা, ধর্ষন,. লুটপাট সহ আরো অনেক কিছু। এর মুলে রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
অথচ এখন ধর্মপ্রান মুসলমানদের  রোজার মাস ও শ্যাম সাধনার মাস। শুধু তাই নই শুক্রবার জুমার নামাযের  দিন এই দিনে ধর্মপ্রান মুসল্লিরা মসজিদে গিয়ে নামাষ আদায় করে নিজের আত্মশুদ্ধির জন্য। কিন্তু তারপরেও  এই ধরনের ঘটছে। তখন প্রশ্ন জাগে আসলে কি ইসলাম মানে কি শান্তি।



রোহিঙ্গাদের জন্য আপনাদের  মানবিক থাকে। কিন্তু নিজ দেশের পাহাড়ীদের কোন মানবিক নেই। শুধু আপনাদের মুসলমান বলে মানবিক থাকবে। নাকি ননমুসলিমদের হত্যা করার জায়েজ আছে।

পাহাড়িরা কোন দিন বিচার চাইবে না। কারন, বিচার কোনদিন হবে। এই দেশ পাহাড়ীদের নই। এই দেশ ধর্মপ্রন মুসলমানদের।

দার্জিলিং ঘুরে আসা নতুন অভিজ্ঞতা

কয়েক দিন যাবৎ মন মানসিকতা তেমন কোন ভাল ছিল না। আর সেই ফাকে কোথাও যাওয়া হচ্ছে না। এই রকম চিন্তা করতে করতে। হঠাৎ আমার ফোন বেজে উঠল। দেখি আ...