Saturday, October 21, 2017

পরিবার প্রানকেন্দ্র (The Heart Of the Family)


পরিবারের প্রাণ বা মূল ব্যাক্তি নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলে সে পরিবারের মুত্যুও অনিবার্য, অবশ্যম্ভাবী। একই বাড়ীতে সদস্যরা যতই নড়াচড়া করুক না কেন, তারা আসলে মৃত। বিয়ের সবচেয়ে বড় পাওয়া হলো একটি সুস্থ, সবল, আনন্দময় প্রীতিময় পরিবার জীবন।

কিন্তু পরিবার গঠনে সবচেয়ে জরুরী বিষয়টি কী? পরিবার জীবন সূচনার আগে বিষয়টি বুঝে নেয়াই দু’জন প্রেমাসক্ত নরনারীল বড়ো দায়। পরবর্তী বিষয়গুলো পরিবারের জন্য অত্যাবশ্যক। যিনি বিয়ে করতে চান, যিনি সন্তান চান, যনি স্বামী বা স্ত্রী চান, তাকে বিষয়গুলো গভীরভাবে অনুধাবন করতে কিংবা বুঝতে হবে। কারন পরিবারের যে সব সমস্যা উদ্ভব হয়।

পরিবারের কিছু নির্দিষ্ট ধাঁচের সমস্যা: (A Family's Typical Problems)

বিয়ের আগে থেকেই পুরুষ/স্ত্রীর মধ্যে কোননা কোন কিছু্না কিছু খুঁত বা ক্রুটি থাকতে পারে। তাই দুজন স্ত্রীপরুষ মিলে যখন দাম্পত্য জীভন/পরিবার জীবনের সূচনা করে, তখন এ খুঁতের কারণে উদ্ভুত সমস্যা তারা এড়িয়ে যেতে পারেন না। গৃহীনীতি  এর মূল উপাদান চারটি। যথা- 

১. সত্যনিষ্ঠা
২. আত্মসংযম
৩. সহনশীলতা
৪. ত্যাগস্বীকার

 এগুলো  যে কোন একটি না থাকলে নীচের এক বা একাধিক সংকটে পড়তে হবে।

১. সন্দেহের কাঁটা
২, বিচার-বুদ্ধিহীনতা, সংসারের (পরিস্থিতি) সংগে, লোকজনের সংগে, খাপ খাওয়াতে না পারা অথবা কিলেসের মধ্যে ডুবে যাওয়া বা ক্লেদাক্ত জীবনে অত্মসমর্পন
৩. পরিবারের প্রতি অনীহা
৪. আত্মপরায়নতা (স্বার্থপরতা)

পরিবারে এ চারটি বড়েো সমস্যা যাতে দেখা না দেয় সে চেষ্টা করাই উত্তম। সমস্যাগুলো দেখা দেবার আগেই তাড়াতাড়ি মিটিয়ে ফেলতে হবে যেন সেগুলো প্রকট হতে না পারে। এই সমস্যাগুলো বড়ো হতে হতে এমন পর্যায়ে ফেছে যখন সেগুলো নাছোড়বান্দা এবং অন্তহীন মনে হবে।

(চলবে)

Wednesday, October 18, 2017

বিবাহিত জীবনের প্রত্যাশা (Expectation in Marrage)

বিবাহিত জীবনে যে সত্যটি সরাসরি উদ্ঘাটিত হয়, তাহলে আত্মপ্রত্যয়ের ঘাটতি। দম্পতি স্থিরনিশ্চিত হতে পারেন না, তারা নিজেরা চলতে পারবেন কিনা। আত্ম প্রত্যয়ের ঘাটতি হলে েএই আশা াখতে পারেন যে জীবনে বহু ব্যাপারে আপনাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে কেউ না কেউ এগিয়ে আসেবেন।

বিয়ের পর দম্পত্তি পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল থাকবেন এটাই প্রত্যাশা করেন। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে প্রত্যাশা পূরন হয় না- ওবাবে সহানুভূতিশীল হন না কিংবা হতে পারেন না । বিপরীতমুখী হয় তাদের আচার- আচরন

কেউ বিয়ে করেন সুন্দরী মেয়ে দেখে। কিন্তু দিনের চব্বিশ ঘন্টাই রুপের চাকচিক্য বজায় রাখা যায় না। রুপলাবন্য টেকেনা বেশি দিন। যদি কেবল বাইরের রুপ লাবন্যের আকর্ষনটাই বড় হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে লাবণ্য কমে গলে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

সুন্দর আচার -ব্যবহারে  ‍মুগ্ধ হয়ে কেউ কেউ সঙ্গী বা সঙ্গিনী বেছে নেন। বরাবর ভদ্র নম্র থাকবেন। এই চিন্তাইতো ভূল। দিনের চব্বিশ ঘন্টাই চমকপ্রদ ব্যবহার আশা করা যায় না। এটাই তো সত্য
সঙ্গী  বা সঙ্গিনী নির্বাচনে যদি বসে বসে  খেতে পারবো, এটাই ভিত্তি হিসেবে ধরি, তাহলে পরষ্পরের উপর নির্ভরতায় চিড় ধরলে শুরু হবে খিটিমিটি কিংবা মামলা মোকদ্দমা পেছনে ছুটাছুটি। এই সংকটের প্রেক্ষাপট থেকেই সৃষ্টি হয়েছে এই প্রবাদটি: অতি লোভে তাঁতী নষ্ট।

নিজের পায়ে দাড়াবো: এটাই হতে হতে হবে বিয়ের আগের মানসিকতা।
বিয়ের পর অনেক ব্যাপারে একে অন্যেরে মুখাপেক্ষী হতে হবে। কিছু কিছু ব্যাপার আছে যেখানে সবুরে মেওয়া ফলে আর কিছু ব্যাপার আছে যেখানে ধৈর্যের চাইতেও বেশি প্রয়োজন জ্ঞান, নৈপুন্য ও নৈতিক বল যা বিকশিত হয়েছিল বিয়ের পূর্বেই।

এ ছাড়াও এমন অনেক কাজ এসে পড়বে যা আগে কখনও করতে হয় নি। এ কাজের ফলাফল ভালো মন্দ কী হবে তাও জানার উপায় নেই। নবজাতকের মাতা-পিতা হিসেবে এর সত্যতা যাচাই করা যায়। শিশুটির কিছু করার সাধ্য নেই- মা-বাবাকেই করে দিতে হয় সবকিছু। শিশুটি বড় হয়ে নিজের পায়ে দাড়াবে এ ক্ষেত্রে মা-বাবার শিশুপালন জ্ঞান, দক্ষতা এর ধৈর্য এর প্রভূত পরীক্ষা হয়।

কাজেই কেবল অন্যপক্ষের উপরই নির্ভর কর থাকতে পারবো, বিয়ের আগে থেকে সে আশা করে থাকাটা ভূল। আপনি চাইছেন অন্যপক্ষ করুক সবকিছু, কার্যত দেখবেন অন্যপক্ষ বেশী চাপ দিচ্ছেন আপানার উপরই।

দার্জিলিং ঘুরে আসা নতুন অভিজ্ঞতা

কয়েক দিন যাবৎ মন মানসিকতা তেমন কোন ভাল ছিল না। আর সেই ফাকে কোথাও যাওয়া হচ্ছে না। এই রকম চিন্তা করতে করতে। হঠাৎ আমার ফোন বেজে উঠল। দেখি আ...