Saturday, October 21, 2017

পরিবার প্রানকেন্দ্র (The Heart Of the Family)


পরিবারের প্রাণ বা মূল ব্যাক্তি নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলে সে পরিবারের মুত্যুও অনিবার্য, অবশ্যম্ভাবী। একই বাড়ীতে সদস্যরা যতই নড়াচড়া করুক না কেন, তারা আসলে মৃত। বিয়ের সবচেয়ে বড় পাওয়া হলো একটি সুস্থ, সবল, আনন্দময় প্রীতিময় পরিবার জীবন।

কিন্তু পরিবার গঠনে সবচেয়ে জরুরী বিষয়টি কী? পরিবার জীবন সূচনার আগে বিষয়টি বুঝে নেয়াই দু’জন প্রেমাসক্ত নরনারীল বড়ো দায়। পরবর্তী বিষয়গুলো পরিবারের জন্য অত্যাবশ্যক। যিনি বিয়ে করতে চান, যিনি সন্তান চান, যনি স্বামী বা স্ত্রী চান, তাকে বিষয়গুলো গভীরভাবে অনুধাবন করতে কিংবা বুঝতে হবে। কারন পরিবারের যে সব সমস্যা উদ্ভব হয়।

পরিবারের কিছু নির্দিষ্ট ধাঁচের সমস্যা: (A Family's Typical Problems)

বিয়ের আগে থেকেই পুরুষ/স্ত্রীর মধ্যে কোননা কোন কিছু্না কিছু খুঁত বা ক্রুটি থাকতে পারে। তাই দুজন স্ত্রীপরুষ মিলে যখন দাম্পত্য জীভন/পরিবার জীবনের সূচনা করে, তখন এ খুঁতের কারণে উদ্ভুত সমস্যা তারা এড়িয়ে যেতে পারেন না। গৃহীনীতি  এর মূল উপাদান চারটি। যথা- 

১. সত্যনিষ্ঠা
২. আত্মসংযম
৩. সহনশীলতা
৪. ত্যাগস্বীকার

 এগুলো  যে কোন একটি না থাকলে নীচের এক বা একাধিক সংকটে পড়তে হবে।

১. সন্দেহের কাঁটা
২, বিচার-বুদ্ধিহীনতা, সংসারের (পরিস্থিতি) সংগে, লোকজনের সংগে, খাপ খাওয়াতে না পারা অথবা কিলেসের মধ্যে ডুবে যাওয়া বা ক্লেদাক্ত জীবনে অত্মসমর্পন
৩. পরিবারের প্রতি অনীহা
৪. আত্মপরায়নতা (স্বার্থপরতা)

পরিবারে এ চারটি বড়েো সমস্যা যাতে দেখা না দেয় সে চেষ্টা করাই উত্তম। সমস্যাগুলো দেখা দেবার আগেই তাড়াতাড়ি মিটিয়ে ফেলতে হবে যেন সেগুলো প্রকট হতে না পারে। এই সমস্যাগুলো বড়ো হতে হতে এমন পর্যায়ে ফেছে যখন সেগুলো নাছোড়বান্দা এবং অন্তহীন মনে হবে।

(চলবে)

Wednesday, October 18, 2017

বিবাহিত জীবনের প্রত্যাশা (Expectation in Marrage)

বিবাহিত জীবনে যে সত্যটি সরাসরি উদ্ঘাটিত হয়, তাহলে আত্মপ্রত্যয়ের ঘাটতি। দম্পতি স্থিরনিশ্চিত হতে পারেন না, তারা নিজেরা চলতে পারবেন কিনা। আত্ম প্রত্যয়ের ঘাটতি হলে েএই আশা াখতে পারেন যে জীবনে বহু ব্যাপারে আপনাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে কেউ না কেউ এগিয়ে আসেবেন।

বিয়ের পর দম্পত্তি পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল থাকবেন এটাই প্রত্যাশা করেন। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে প্রত্যাশা পূরন হয় না- ওবাবে সহানুভূতিশীল হন না কিংবা হতে পারেন না । বিপরীতমুখী হয় তাদের আচার- আচরন

কেউ বিয়ে করেন সুন্দরী মেয়ে দেখে। কিন্তু দিনের চব্বিশ ঘন্টাই রুপের চাকচিক্য বজায় রাখা যায় না। রুপলাবন্য টেকেনা বেশি দিন। যদি কেবল বাইরের রুপ লাবন্যের আকর্ষনটাই বড় হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে লাবণ্য কমে গলে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

সুন্দর আচার -ব্যবহারে  ‍মুগ্ধ হয়ে কেউ কেউ সঙ্গী বা সঙ্গিনী বেছে নেন। বরাবর ভদ্র নম্র থাকবেন। এই চিন্তাইতো ভূল। দিনের চব্বিশ ঘন্টাই চমকপ্রদ ব্যবহার আশা করা যায় না। এটাই তো সত্য
সঙ্গী  বা সঙ্গিনী নির্বাচনে যদি বসে বসে  খেতে পারবো, এটাই ভিত্তি হিসেবে ধরি, তাহলে পরষ্পরের উপর নির্ভরতায় চিড় ধরলে শুরু হবে খিটিমিটি কিংবা মামলা মোকদ্দমা পেছনে ছুটাছুটি। এই সংকটের প্রেক্ষাপট থেকেই সৃষ্টি হয়েছে এই প্রবাদটি: অতি লোভে তাঁতী নষ্ট।

নিজের পায়ে দাড়াবো: এটাই হতে হতে হবে বিয়ের আগের মানসিকতা।
বিয়ের পর অনেক ব্যাপারে একে অন্যেরে মুখাপেক্ষী হতে হবে। কিছু কিছু ব্যাপার আছে যেখানে সবুরে মেওয়া ফলে আর কিছু ব্যাপার আছে যেখানে ধৈর্যের চাইতেও বেশি প্রয়োজন জ্ঞান, নৈপুন্য ও নৈতিক বল যা বিকশিত হয়েছিল বিয়ের পূর্বেই।

এ ছাড়াও এমন অনেক কাজ এসে পড়বে যা আগে কখনও করতে হয় নি। এ কাজের ফলাফল ভালো মন্দ কী হবে তাও জানার উপায় নেই। নবজাতকের মাতা-পিতা হিসেবে এর সত্যতা যাচাই করা যায়। শিশুটির কিছু করার সাধ্য নেই- মা-বাবাকেই করে দিতে হয় সবকিছু। শিশুটি বড় হয়ে নিজের পায়ে দাড়াবে এ ক্ষেত্রে মা-বাবার শিশুপালন জ্ঞান, দক্ষতা এর ধৈর্য এর প্রভূত পরীক্ষা হয়।

কাজেই কেবল অন্যপক্ষের উপরই নির্ভর কর থাকতে পারবো, বিয়ের আগে থেকে সে আশা করে থাকাটা ভূল। আপনি চাইছেন অন্যপক্ষ করুক সবকিছু, কার্যত দেখবেন অন্যপক্ষ বেশী চাপ দিচ্ছেন আপানার উপরই।

Friday, June 30, 2017

কষ্টে অর্জিত সম্পদ চারটি কারনে নষ্ট হয়ে যায়


মানব জীবন হচ্ছে খুবই দুর্লব জীবন। মানুষ জন্ম গ্রহন করার পর তকে সমাজের সাথে চলন ফিরন করতে হই।  কারন, মানুষ সামাজি জীব। যদি কেউ পারিবারিক ভাবে সুখী হতে চাই তাহলে তাকে সামাজিক ভাবে সুখী হতে হবে। আর যদি সমাজ সুখী হয় তাহলে গ্রাম সুখী হবে। গ্রাম সুখী হলে একটি ইউনিয়ন সুখী হবে। এভাবে একটি দেশ সুখী হতে পারে। বর্তমান সময়ে মানুষ খুব নিজেকে দুঃখী মনে করে। কিন্তু কি কারনে নিজেকে দুঃখী মনে করে সেই নিজেই জানে না। তাই সবার আগে প্রয়োজন যথা লাভে সন্তুষ্ঠ। কারন, মানুষের মনের মধ্যে যে লোভ লালসা বেড়ে গেছে এই রকম চললে সামনে আর দুঃখ ভোগ করতে হবে। তাই প্রত্যেক মানুষের চারটি জিনিস অবশ্যই বর্জন করতে হবে। তা না হলে পারিবারিক ভাবে সে সুখী হতে পারবে না। 

১. মদ খাওয়া,
২. জুয়া খেলা,
৩. পর নারীর প্রতি আসক্ত (পরকীয়া),
৪. অসৎ বন্ধুর সাথে মেলামেশা,

এই চারটি জিনিস যে পুরুষ বর্জন করতে পারবে সে পারিবারিক ভাবে সুখী হতে পারবে। এবং তার কষ্টে অর্জিত টাকা কোন দিন সহজে নষ্ট পারবে না।

Tuesday, June 13, 2017

রাঙ্গামাটি মাটি চাপায় ৩০-৩৫ জনের মৃত্য!

অতি বর্ষনে পাহাড় ধসের করুন । চিত্র-  সুত্র- ফেসবুক

দেশের উপর বয়ে যাওয়া মেঘের কারনে সেব জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে। তানা ২/৩ দিন ধরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে ও বন্দর নগরী চট্টগ্রামে। বর্তমানে আবহাওয়া অফিস সব বন্দর গুলোকে ৩ নাম্বার সংকেত বলৎবট রেখেছে। আবহাওয়া অফিস বলছে এই ধারাই আরো দুই তিন দিন বৃষ্টি হতে পারে।
মাটি চাপায় মারা যাওয়া আদিবাসী নারী ।সুত্র-ফেসবুক
রাঙ্গামাটিতে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ার কারনে আজ সকাল থেকে পাহাড় ধস নামতে শুরু করে। রাঙ্গামাটি শহরের সব এলাকায় প্রায় মাটি ধস নামে। তাই এই সময় বাড়িতে থাকা মানুষ গুলো মাটির চাপা পড়ে মৃত্যু বরন করে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা উল্লেখ করেছেন। মাটির নিচে এখনো অনেক মানুষ আটকা পড়ে আছে। বেসরকারি ভাবে প্রায় বর্তমান মৃতের সংখ্যা ৫০-৬০ উপরে হবে। এই সংখ্যা বাড়তেও পারে বা কমতে পারে।



স্থানীয় জনগন অভিযোগ করছে স্থানীয় প্রশাসনকে। যদি প্রশাসন আগে ভাগে জানিয়ে দিত যে পাহাড় ধসের হওয়ার সম্ভবনা আছে। তাহলে লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ে আশ্রয় গ্রহন করতে পারত। আর এই দিকে প্রশাসন বলছে লোকজনকে আগে ভাগেই সব কিছু বলা হয়েছে। তারা নিরাপদ আশ্রয়ে যায় নি বলে এত হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

শহরের মানুষ এমন বৃষ্টি কোন দিন দেখেনি। বেশির ভাগ মানুষ প্রানহানি হয়েছে পেীরসভাস্থ ভেদভেদী এলাকায়। এখানে ৩০-৩৫ জন মানুষ মারা গেছে। শুধু ভেদভেদি নই রাঙ্গামাটি শহরের প্রায় সব জায়গায় পাহাড় ধস হয়েছে। তাই স্থানীয় প্রশাসস সবাইকে নিরাপদ স্থানে থাকার আহবান জানিয়েছে।


অতি বর্ষনে পাহাড় ধসের করুন চিত্র ।  সুত্র- ফেসবুক

Saturday, June 3, 2017

অশান্ত পাহাড়

ভয়ে পালিয়ে যাচ্ছে পাহাড়িরা। আর পিছনে পুড়ছে ঘর-বাড়ি

















পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একটি এলাকা, যা তিনটি জেলা, রাঙামাটিখাগড়াছড়ি, ও বান্দরবান নিয়ে গঠিত।  এটি মুলত পাহাড়ী অঞ্চল। এই অঞ্চলে মুল আদিবাসী হচ্ছে চাকমা, মারমা, তঞ্চঙ্গ্যা, ত্রিপুরা, বম, খিয়াং সহ আরো অনেক ছোট ছোট জন গোষ্ঠি। এরা জাতে মঙ্গলীয় শ্রেনীর। এদের প্রধান জীবিকা হচ্ছে জুম চাষ। সেই পাশাপাশি কৃষি কাজ ও বাগান বাগিছা করা থেকে সব কিছু করছে তারা। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয়। তখন সেই পাহাড়ী অঞ্চলের মানুষদের মাঝে একটি শান্তি বিরাজ করেছিল। কিন্তু যখন ১৯৭২ সালে বর্তমান সরকারের প্রধান আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যখন পাহাড়ীদের বাঙালি হতে আহ্বান জানান। তখন থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের মাঝে একটি অশান্তি বার্তা বয়ে আনে। তখন পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদে যোগ দেন। সাবেক এবং প্রয়াত স্বাধীন চেতনার বীজ শ্রী মানবেন্দ্র নারায়ন লারম (লারমা)। এর ঘোর বিরোধিতা করে সংসদ ওয়াক আউট করেন। সেই সময় মানবেন্দ্র নারায়ন লারমাকে হুশিয়ারি করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পাহাড়ে হাজার হাজার বাঙালি ডুকিয়ে দিয়ে আপনাদের বাঙালি করা হবে। তখন থেকে মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা সশস্ত্র সংগ্রামের প্রয়োজন মনে করে গেরিলা বাহিনী শান্তিবাহিনী নামে একটি সশস্ত্র গ্রুপ করেন। তখন থেকে শান্তি বাহিনী আবির্ভাব হয়। তখন থেকে সশন্ত্র সংগ্রাম শুরু হয়। 


পুড়ে যাওয়ার পর সহায় সম্বল নিয়ে পরিবারের সদস্য
সেই সশস্ত্র সংগ্রামের ভিতরেও বিএনপির প্রধান জিয়াউর রহমান ও স্বৈরশাসক হুইসেন মহাম্মদ এরশাদের আমলে হাজার হাজার বাঙালিকে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেটেল করা হয়। তখন কার সময়ে ১৯৮৬ সাল চলছিল। এর ভিতরে পার্বত্য চট্টগ্রামে কয়েকটি গন হত্যা সংঘটিত হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সেটেলার বাঙালিদের মাধ্যমে প্রথম সংঘটিত হয় কাউখালী উপজেলার সদরে । সেই গনহত্যায় প্রায় ৮০০-১০০০ লোককে হত্যা করা হয়। সেই পর নানিয়াচরের গনহত্যা সেখানেও প্রায় হাজার খানিক মৃত্য বরন করে, এরপর লুংগদুসহ মারিশ্যা লোগাং সহ আরো কয়েকটি বড় বড় গনহত্যা করা হয়।  এরপর ১৯৯৭ সালে শান্তি চুক্তি নামে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেটা বর্তমান সরকারের আমলে হয়েছিল। সেই চুক্তি হওয়ার পর পাহাড়ে বসবাস করা পাহাড়ী ও বাঙালিদের মনে একটি প্রশান্তি বার্তা বয়ে আনবে বলে মনে করা হয়েছিল।



 কিন্তু সেই চুক্তির পর প্রতি বছর হাজার হাজার  পার ভাঙা ও নদী ভাঙা বাঙালিদের পার্বত্য চট্টগ্রামে সেটেল করা হচ্ছে। তাদের কারনে আজ পাহাড়ে অশান্তির বার্তা বয়ে নিয়ে এসেছে। এর পাশাপাশি ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু যে ঘোষানা দিয়েছিল। তার প্রতিফলন ঘঠাতে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী, বাংলাদেশ আর্মট পুলিশ, বাংলাদেশ বিজিবি সহ আরো অনেক সংঘটন। আজ পাহাড়ে বাঙালি আর পাহাড়ি সমান।


এর পর প্রতিবছর নানা জায়গায় সাম্প্রদায়িক হামলা করা হয়। সেই সাথে  বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় বাঙালিরা পাহাড়ীদের ঘর বাড়ি লুটপাঠ করে তারপর বাড়িতে অগ্নি সংযোগ করে দেয়া হয়। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেই। যা দেখে মনে হয় আমরা এখনো ১৯৭১ সালে আছি। এ যেন এক ১৯৭১ সাল। ]





পুড়ে যাওয়া ঘর (সুত্র- ফেসবুক থেকে)


হাজার হাজার পাহাড়ী ভয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। এ যেন এক ১৯৭১ সাল
৩/০৬/২০১৭ইং রোজ শুক্রবার জুমার নামাযের দিন লুংগদুতে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়। শুধু তাই নই ৭০ বছরের এক বৃদ্ধাকে জ্বলন্ত আগুনে দিয়ে মেরে ফেলা হয়। ঘটনার সুত্র পাঠ খাগড়াছড়ি জেলাধীন দিঘীনালা উপজেলাস্থ চার মাইল নামক এক যুবলীগ কর্মীর লাশ পাওয়া যায়। সেই যুবলীগ কর্মীর নাম নয়ন ইসলাম( যুবলীগ কর্মীর সম্পাদক) তাকে কে বা কারা হত্যা করেছে। তার কোন সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া শুধু অনুমানের ভিত্তিতে পাহাড়ীদের  দোষারোপ করা হয়। সেই সুত্র ধরে লুংগদু উপজেলায় গ্রামের গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়।
পাহাড়ে যখন কোন বাঙালির লাশ পাওয়া যায়। তখন সন্দেহ তীর কিন্তু পাহাড়ীদের দিকে তাক করা হয়। সেখানে কোন তদন্ত হয় না। কোন কিছুর আলামত ছাড়া একতরফা ভাবে পাহাড়ীদের দোষারোপ করা হয়। 
 এই ধরনেরর ঘটনা অহর অহর ঘটছে। যা বাহিরে প্রকাশ হচ্ছে না। শুধু তারা সাম্প্রদায়িক উস্কে দিচ্ছে না। প্রতিদিন ঘটছে হত্যা, ধর্ষন,. লুটপাট সহ আরো অনেক কিছু। এর মুলে রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
অথচ এখন ধর্মপ্রান মুসলমানদের  রোজার মাস ও শ্যাম সাধনার মাস। শুধু তাই নই শুক্রবার জুমার নামাযের  দিন এই দিনে ধর্মপ্রান মুসল্লিরা মসজিদে গিয়ে নামাষ আদায় করে নিজের আত্মশুদ্ধির জন্য। কিন্তু তারপরেও  এই ধরনের ঘটছে। তখন প্রশ্ন জাগে আসলে কি ইসলাম মানে কি শান্তি।



রোহিঙ্গাদের জন্য আপনাদের  মানবিক থাকে। কিন্তু নিজ দেশের পাহাড়ীদের কোন মানবিক নেই। শুধু আপনাদের মুসলমান বলে মানবিক থাকবে। নাকি ননমুসলিমদের হত্যা করার জায়েজ আছে।

পাহাড়িরা কোন দিন বিচার চাইবে না। কারন, বিচার কোনদিন হবে। এই দেশ পাহাড়ীদের নই। এই দেশ ধর্মপ্রন মুসলমানদের।

Saturday, May 13, 2017

বিয়ের পূর্বেই ভাবতে হবে মূল বিষয়গুলো

মানুষ সামাজিক জীব। তাই সমাজে বসবাস করতে হয়। কিন্তু সমাজে একা বাস করা সম্ভব নই। প্রয়োজন স্বামী-স্ত্রী, পুত্র-কন্যা, আত্মীয়-স্বজন, শুশুর -শাশুরি হতে শুরু করে সব কিছুই লাগে। এটি একটি জাগতিক নিয়ম। এর বাইরে যে থাকে তাকে পাগল ছাড়া কিছু বলা যায় না। 

কিন্তু তার পরেও পরিবার রচনা করার সময়। অনেক কিছু ভাবতে হয়। আন্দাজে কোন কিছু করতে গেলে ধরা খেতে হয়। কারন, সব কিছুর যদি সঠিক পরিকল্পনা না থাকে। তাহলে  পরবর্তীতে পস্তাতে হবে। তাই স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে বসবাস শুরু করলে নিজেদের মধ্যে অথবা তাদের আত্মীয়দের মধ্যে একটু ঠুকাঠুকি হবেই। লক্ষ লক্ষ বছর পরেও ধারনাটি মিথ্যা হয়ে যায় নি। যাই হোক না কেন ঠোকাঠুকি সম্ভাবনা সব সময় থেকেই যায়।

তাই বিয়ের পূর্বে আবেগ দমন করতে না শেখেন তাহলে বড় হয়ে দেখা দেবে মত বিরোধ, সন্তোষজনক সমাধানের পথ খুজে পাবেন না, পরিবারেরে প্রত্যেকেই বড়ো মনোকষ্ট ভোগ করবেন, পরিবারে নেমে আসবে স্বাভাবিক জীবন যাত্রার বিপর্যয়। সুখশান্তিতে কাটাবেন না দাম্পত্য জীবন
যদি বিয়ের আগে যদি শিখে নিতে পারেন আবেগ দমন এর কৌশল , যতই মতের গরমিল হোক, তারা তাদের অবাঞ্ছিত আবেগকে ঠেকাতে পারতেন, পরদিনই তার অবসান হয়ে যেতো। পরিবারে ফিরে আসতো শান্তি ও স্বস্থির বাতাবরন। তাঁরা তাদের বদ অভ্যাস বর্জনের চেষ্টা করতেন আর চাইতেন তারা পরস্পরকে প্রতি বেশ ভালো ব্যবহার উদ্বুদ্ধ করতে। এর ফলে পরস্পরের প্রতি আন্তরিকতা প্রীতিবদ্ধ মনোভাব জেগে উঠত। পারিবারিক বন্ধন হতো সুদৃঢ়, সমাজে বাড়তো পরিবারের মানসম্মান। অবশ্যই যারা আবেগের রাশ টেনে ধরতে পারেন, তারা বিয়ের আগেই এ বিষয়ে প্রশিক্ষন নিয়ে থাকবেন। আমাদের পিতামহ-পিতামহকে সারা জীবন  এ সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়েছিল।

যাদের বিয়ের তর সইতে পারছেন না। তাদের বিয়ে সার্থক করতে চাইলে চারটি সুত্র মেনে চলতে হবে।
১. আত্ম নির্ভরশীল হওয়া চাই
২. সঠিক মেয়ে-পুরুষ নির্বাচনের জ্ঞান থাকা চাই
৩. বিবাহ বিষয়ক পরামর্শক চাই
৪. চিত্তোশোধনের কৌশল জানা চাই।


উপরে চারটির বিষয় আগে চিন্তা ভাবনা করে বিবাহ করুন। 

Friday, May 12, 2017

দাম্পত্য জীবন সুখী হতে চান?


                       
বর্তমান সময়ে সমাজের মধ্যে একটি বড় বাধা হয়ে দাড়িয়েছে দাম্পত্য জীবন। কারন,, সবাই চাই দাম্পত্য জীবন সুখী হতে। কিন্তু হাজারের মধ্যে দুই এক পরিবার দাম্পত্য জীবন সুখী হয়। বাদ বাকী গুলো শুধু পৃথিবীর মায়া জালে অভিনেতা  ও অভিনেত্রী হয়ে অভিনয় করে যায়। যদিও আমরা দেখতে পাই। তারা সবার সথে মজা করছে, হাসি তামাছা ও নানা ধরনের দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু তার ভিতরের অন্তর যে পুড়ে যাচ্ছে দেখার কেউ নেই। কারন, সেও অভিনয় করার মত শক্তি পেয়েছে। কিন্তু যখন একাকী কোন সময়ে তার কাছে আছে সেই দুঃখ গুলো প্রকৃতি দেখতে পাই। 
সংসার সবাই করে। সংসার যখন রচনা করা হয় তখন দেখবেন। কত উৎসব, কত বাজনা, আর কত খানা পিনা আর কত ধরনের লাইটিং ব্যাবস্থা আর কত কি চোখ ধাধানো রকমারী উৎসব। কিন্তু সেটা  পরক্ষনে যখন চলে যায় চলে আসে শুধু হাহাকার। সেই হাহাকারে সবাই পুড়ে মরছে এবং অন্যকেও পুড়াচ্ছে। 
যদি কেউ পুড়ে তখন তাকে এই তিনটি জিনিস মনে রাখলে চলবে। 
১. আত্মবিশ্বাস
২. যথা লাভে সন্তুষ্ঠ
৩. সন্দেহ প্রবন না হওয়া

এই গুলো বিস্তারিত আলোচনা না করলে কেউ বুঝতে পারবে না, হয়তো তাই আলোচনা করলাম।
১. আত্মবিশ্বাসঃ-  আপনারা  জানেন মানুষ বিশ্বাসের উপরে দাড়িয়ে কাজ করছে। আপনি যা কিছু করছেন তা সব কিছু বিশ্বাস ওপর নির্ভর করে কাজ করে। যেমন- আমি একটি কোম্পানি বা ব্যাংকে যে কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছি। কেন কাজ করছি? তারা মাসে আমাকে কিছু সম্মানী বা বেতন দিবে। আপনি যখন কোন প্রতিষ্ঠানে ডুকবেন। ডুকার সাথে সাথে টাকা দিবে না। একমাস পরে আপনাকে যা বেতন ধরা হয়েছে তা আপনাকে শোধ করবে। এই একমাস কার উপর ভিত্তি করে কাজ করেছেন। টাকার উপরে না বিশ্বাসের উপরে। আমি নির্দ্বিধায় বলবো আপনি বিশ্বাসের উপর বসে কাজ করেছেন। যখন আপনি সম্মানি পেয়েছেন তাহলে আপনার আরো বিশ্বাস বেড়ে গেল। তারপর আপনি আবার ভালো করে কাজ করার প্রয়াস করবেন। ঠিক তেমনি আপনি যাকে বিয়ে করেছেন। তার জন্য বড় প্রয়োজন   আত্ম বিশ্বাস। কারন, আপনার যখন নিজের প্রতি বিশ্বাস থাকবে। আপনি যে কোনকে বিশ্বাস করতে পারবেন।তাই আপানার দাম্পত্য জীবনে সুখী হতে হলে প্রথম প্রয়োজন আত্ম বিশ্বাস

২. যথা লাভে সন্তুষ্ঠঃ- আপনি যা লাভ করেছেন। তাতেই সন্তুষ্ঠ থাকাটা উত্তম এবং শ্রেয়। আপনি এমন একজন বৌ পেয়েছেন। আপনার কিছুতেই পছন্দ না। আপনি তাহাকে পছন্দ করতেন না। পারিবারিক থেকে জোর করে বিয়ে করে দিয়েছে। তাই আপনাকে বাধ্য হয়ে বিয়ে করতে হয়েছে। যখন বিয়ে হয়ে গেছে। আপনার আর কিছু করার নেই। তাই আপশোস বা অনুতাপ বা অনশোচনা করে লাভ নেই। যদি আপনি যার সাথে বিয়ে হয়েছে। তার সাথে প্রতিদিন ঝগড়া ঝাটি করতে থাকেন। তাহলে আপনিও যেমন সুখী নই। আপনার পরিবারও সুখী নই। অথচ সুখের জন্য আপনাকে সংসার রচনা করা হয়েছে। বরং সব আশা জলাঞ্জলী দিয়ে তার সাথে সুন্দর সংসার রচনা করুন। কারন, আপনি হয়তো তাকেই নিয়েই বড় ধরনের সুখী হতে পারবেন। 

৩. সন্দেহ প্রবন না হওয়াঃ- সংসার জীবনে সবচাইতে এটি বেশি গুরত্ববহ। কারন, এই কারনে বেশির ভাগ দাম্পত্য জীবন কলাহল হয়। স্বামী স্ত্রীকে সন্দেহ করছে আর স্ত্রী স্বামীকে সন্দেহ করছে। সেটা কারনে বা অকারেনে হোক। কিন্তু যখন আপনি সন্দেহ করতে শুরু করেছেন আপনি তাকে সব কাজে সন্দেহ করতে শুরু করবেন। যদি কোন সন্দেহ মুলক পরিস্থিতি বা পরিবেশ সৃষ্টি হয় তাহলে সবার অগচোরে স্বামী স্ত্রী একটি জায়গায় বসে কথা বলতে পারে। তাদের সন্দেহ কথা। যখন দুই জনের মধ্যে একটি কথা হবে। তখন সব জামেলা সমাধান। যদি সমাধান না হয় তাহলে তৃতীয় পক্ষকে ধরে নিয়ে সমাধান করার প্রয়াস করুন। কিন্তু তৃতীয় পক্ষ মানুষটি হবে আপনাদের একান্ত আত্মীয় এবং আপনাদের গুরু জন। তাদের পরমর্শে নেওয়া অত্যান্ত দরকার। তাই দাম্পত্য জীবনে সুখী হতে চাইলে সন্দেহ প্রবনটা কমে নিয়ে আসতে হবে।

দার্জিলিং ঘুরে আসা নতুন অভিজ্ঞতা

কয়েক দিন যাবৎ মন মানসিকতা তেমন কোন ভাল ছিল না। আর সেই ফাকে কোথাও যাওয়া হচ্ছে না। এই রকম চিন্তা করতে করতে। হঠাৎ আমার ফোন বেজে উঠল। দেখি আ...