Saturday, May 13, 2017

বিয়ের পূর্বেই ভাবতে হবে মূল বিষয়গুলো

মানুষ সামাজিক জীব। তাই সমাজে বসবাস করতে হয়। কিন্তু সমাজে একা বাস করা সম্ভব নই। প্রয়োজন স্বামী-স্ত্রী, পুত্র-কন্যা, আত্মীয়-স্বজন, শুশুর -শাশুরি হতে শুরু করে সব কিছুই লাগে। এটি একটি জাগতিক নিয়ম। এর বাইরে যে থাকে তাকে পাগল ছাড়া কিছু বলা যায় না। 

কিন্তু তার পরেও পরিবার রচনা করার সময়। অনেক কিছু ভাবতে হয়। আন্দাজে কোন কিছু করতে গেলে ধরা খেতে হয়। কারন, সব কিছুর যদি সঠিক পরিকল্পনা না থাকে। তাহলে  পরবর্তীতে পস্তাতে হবে। তাই স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে বসবাস শুরু করলে নিজেদের মধ্যে অথবা তাদের আত্মীয়দের মধ্যে একটু ঠুকাঠুকি হবেই। লক্ষ লক্ষ বছর পরেও ধারনাটি মিথ্যা হয়ে যায় নি। যাই হোক না কেন ঠোকাঠুকি সম্ভাবনা সব সময় থেকেই যায়।

তাই বিয়ের পূর্বে আবেগ দমন করতে না শেখেন তাহলে বড় হয়ে দেখা দেবে মত বিরোধ, সন্তোষজনক সমাধানের পথ খুজে পাবেন না, পরিবারেরে প্রত্যেকেই বড়ো মনোকষ্ট ভোগ করবেন, পরিবারে নেমে আসবে স্বাভাবিক জীবন যাত্রার বিপর্যয়। সুখশান্তিতে কাটাবেন না দাম্পত্য জীবন
যদি বিয়ের আগে যদি শিখে নিতে পারেন আবেগ দমন এর কৌশল , যতই মতের গরমিল হোক, তারা তাদের অবাঞ্ছিত আবেগকে ঠেকাতে পারতেন, পরদিনই তার অবসান হয়ে যেতো। পরিবারে ফিরে আসতো শান্তি ও স্বস্থির বাতাবরন। তাঁরা তাদের বদ অভ্যাস বর্জনের চেষ্টা করতেন আর চাইতেন তারা পরস্পরকে প্রতি বেশ ভালো ব্যবহার উদ্বুদ্ধ করতে। এর ফলে পরস্পরের প্রতি আন্তরিকতা প্রীতিবদ্ধ মনোভাব জেগে উঠত। পারিবারিক বন্ধন হতো সুদৃঢ়, সমাজে বাড়তো পরিবারের মানসম্মান। অবশ্যই যারা আবেগের রাশ টেনে ধরতে পারেন, তারা বিয়ের আগেই এ বিষয়ে প্রশিক্ষন নিয়ে থাকবেন। আমাদের পিতামহ-পিতামহকে সারা জীবন  এ সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়েছিল।

যাদের বিয়ের তর সইতে পারছেন না। তাদের বিয়ে সার্থক করতে চাইলে চারটি সুত্র মেনে চলতে হবে।
১. আত্ম নির্ভরশীল হওয়া চাই
২. সঠিক মেয়ে-পুরুষ নির্বাচনের জ্ঞান থাকা চাই
৩. বিবাহ বিষয়ক পরামর্শক চাই
৪. চিত্তোশোধনের কৌশল জানা চাই।


উপরে চারটির বিষয় আগে চিন্তা ভাবনা করে বিবাহ করুন। 

Friday, May 12, 2017

দাম্পত্য জীবন সুখী হতে চান?


                       
বর্তমান সময়ে সমাজের মধ্যে একটি বড় বাধা হয়ে দাড়িয়েছে দাম্পত্য জীবন। কারন,, সবাই চাই দাম্পত্য জীবন সুখী হতে। কিন্তু হাজারের মধ্যে দুই এক পরিবার দাম্পত্য জীবন সুখী হয়। বাদ বাকী গুলো শুধু পৃথিবীর মায়া জালে অভিনেতা  ও অভিনেত্রী হয়ে অভিনয় করে যায়। যদিও আমরা দেখতে পাই। তারা সবার সথে মজা করছে, হাসি তামাছা ও নানা ধরনের দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু তার ভিতরের অন্তর যে পুড়ে যাচ্ছে দেখার কেউ নেই। কারন, সেও অভিনয় করার মত শক্তি পেয়েছে। কিন্তু যখন একাকী কোন সময়ে তার কাছে আছে সেই দুঃখ গুলো প্রকৃতি দেখতে পাই। 
সংসার সবাই করে। সংসার যখন রচনা করা হয় তখন দেখবেন। কত উৎসব, কত বাজনা, আর কত খানা পিনা আর কত ধরনের লাইটিং ব্যাবস্থা আর কত কি চোখ ধাধানো রকমারী উৎসব। কিন্তু সেটা  পরক্ষনে যখন চলে যায় চলে আসে শুধু হাহাকার। সেই হাহাকারে সবাই পুড়ে মরছে এবং অন্যকেও পুড়াচ্ছে। 
যদি কেউ পুড়ে তখন তাকে এই তিনটি জিনিস মনে রাখলে চলবে। 
১. আত্মবিশ্বাস
২. যথা লাভে সন্তুষ্ঠ
৩. সন্দেহ প্রবন না হওয়া

এই গুলো বিস্তারিত আলোচনা না করলে কেউ বুঝতে পারবে না, হয়তো তাই আলোচনা করলাম।
১. আত্মবিশ্বাসঃ-  আপনারা  জানেন মানুষ বিশ্বাসের উপরে দাড়িয়ে কাজ করছে। আপনি যা কিছু করছেন তা সব কিছু বিশ্বাস ওপর নির্ভর করে কাজ করে। যেমন- আমি একটি কোম্পানি বা ব্যাংকে যে কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছি। কেন কাজ করছি? তারা মাসে আমাকে কিছু সম্মানী বা বেতন দিবে। আপনি যখন কোন প্রতিষ্ঠানে ডুকবেন। ডুকার সাথে সাথে টাকা দিবে না। একমাস পরে আপনাকে যা বেতন ধরা হয়েছে তা আপনাকে শোধ করবে। এই একমাস কার উপর ভিত্তি করে কাজ করেছেন। টাকার উপরে না বিশ্বাসের উপরে। আমি নির্দ্বিধায় বলবো আপনি বিশ্বাসের উপর বসে কাজ করেছেন। যখন আপনি সম্মানি পেয়েছেন তাহলে আপনার আরো বিশ্বাস বেড়ে গেল। তারপর আপনি আবার ভালো করে কাজ করার প্রয়াস করবেন। ঠিক তেমনি আপনি যাকে বিয়ে করেছেন। তার জন্য বড় প্রয়োজন   আত্ম বিশ্বাস। কারন, আপনার যখন নিজের প্রতি বিশ্বাস থাকবে। আপনি যে কোনকে বিশ্বাস করতে পারবেন।তাই আপানার দাম্পত্য জীবনে সুখী হতে হলে প্রথম প্রয়োজন আত্ম বিশ্বাস

২. যথা লাভে সন্তুষ্ঠঃ- আপনি যা লাভ করেছেন। তাতেই সন্তুষ্ঠ থাকাটা উত্তম এবং শ্রেয়। আপনি এমন একজন বৌ পেয়েছেন। আপনার কিছুতেই পছন্দ না। আপনি তাহাকে পছন্দ করতেন না। পারিবারিক থেকে জোর করে বিয়ে করে দিয়েছে। তাই আপনাকে বাধ্য হয়ে বিয়ে করতে হয়েছে। যখন বিয়ে হয়ে গেছে। আপনার আর কিছু করার নেই। তাই আপশোস বা অনুতাপ বা অনশোচনা করে লাভ নেই। যদি আপনি যার সাথে বিয়ে হয়েছে। তার সাথে প্রতিদিন ঝগড়া ঝাটি করতে থাকেন। তাহলে আপনিও যেমন সুখী নই। আপনার পরিবারও সুখী নই। অথচ সুখের জন্য আপনাকে সংসার রচনা করা হয়েছে। বরং সব আশা জলাঞ্জলী দিয়ে তার সাথে সুন্দর সংসার রচনা করুন। কারন, আপনি হয়তো তাকেই নিয়েই বড় ধরনের সুখী হতে পারবেন। 

৩. সন্দেহ প্রবন না হওয়াঃ- সংসার জীবনে সবচাইতে এটি বেশি গুরত্ববহ। কারন, এই কারনে বেশির ভাগ দাম্পত্য জীবন কলাহল হয়। স্বামী স্ত্রীকে সন্দেহ করছে আর স্ত্রী স্বামীকে সন্দেহ করছে। সেটা কারনে বা অকারেনে হোক। কিন্তু যখন আপনি সন্দেহ করতে শুরু করেছেন আপনি তাকে সব কাজে সন্দেহ করতে শুরু করবেন। যদি কোন সন্দেহ মুলক পরিস্থিতি বা পরিবেশ সৃষ্টি হয় তাহলে সবার অগচোরে স্বামী স্ত্রী একটি জায়গায় বসে কথা বলতে পারে। তাদের সন্দেহ কথা। যখন দুই জনের মধ্যে একটি কথা হবে। তখন সব জামেলা সমাধান। যদি সমাধান না হয় তাহলে তৃতীয় পক্ষকে ধরে নিয়ে সমাধান করার প্রয়াস করুন। কিন্তু তৃতীয় পক্ষ মানুষটি হবে আপনাদের একান্ত আত্মীয় এবং আপনাদের গুরু জন। তাদের পরমর্শে নেওয়া অত্যান্ত দরকার। তাই দাম্পত্য জীবনে সুখী হতে চাইলে সন্দেহ প্রবনটা কমে নিয়ে আসতে হবে।

দার্জিলিং ঘুরে আসা নতুন অভিজ্ঞতা

কয়েক দিন যাবৎ মন মানসিকতা তেমন কোন ভাল ছিল না। আর সেই ফাকে কোথাও যাওয়া হচ্ছে না। এই রকম চিন্তা করতে করতে। হঠাৎ আমার ফোন বেজে উঠল। দেখি আ...