Tuesday, November 6, 2018

দার্জিলিং ঘুরে আসা নতুন অভিজ্ঞতা


কয়েক দিন যাবৎ মন মানসিকতা তেমন কোন ভাল ছিল না। আর সেই ফাকে কোথাও যাওয়া হচ্ছে না। এই রকম চিন্তা করতে করতে। হঠাৎ আমার ফোন বেজে উঠল। দেখি আমার এক সিনিয়র ভাইয়ের ফোন। রিচিভ করে হ্যালো বললাম। তারপর তিনি এমন একটা অফার করল। যা ভাবতে পারে নি। অফারটা ছিল দার্জিলিংয়ে একটা আমাদের ধর্মীয় প্রগ্রাম আছে। সেখানে আমাদেরকে নিমন্ত্রন করা হয়েছে।

টয় ট্রেন স্টেশন
আমরা এমনি একটি শখ ছিল দার্জিলিং শুধু নাম শুনেছি। কিন্তু স্বচোক্ষে দেখার সুযোগ হয় নি। আমি সাত পাঁচ না ভেবে সোজা রাজি হয়ে গেলাম। তারপরের দিন আমাদেরকে যেতে হবে। তাই আমার বন্ধু আমাকে সব কিছু প্রস্তুত করে থাকতে বলেছিলেন। বলল যে- ওখানে প্রচুর ঠান্ডা গরম কাপড় নিলে ভালো হবে। যেহেতু শীত আসতে অনেক দেরি তাই গরম কাপড় এখনো কেনা হয় নি। তারপরও যা আছে তাই নিয়ে নিলাম।


কাঙ্খিত দিন আসল। আমাদের জন্য একটা সাদা টাটা ইনো ভাড়া করা হল। আমরা সর্বমোট পাঁচ জন ছিলাম। আমরা রেডি হয়ে বের হলাম। তারপর আমাদের গাড়ি চলতে থাকল। এরপর শুরু হলো পাহাড় উঠা পাহাড়ে বাঁকগুলো এমন বাঁক ড্রাইবার যদি কোন কারনে ব্রেক ফেল করে তাহলে আমাদের খুজে পাওয়া মুশকিল হবে।

দার্জিলিং উঠার সময় বাঁকের পর বাঁক আর খাড়া পাহাড়
আর সেই পাশাপাশি উত্তেজনা ছিল। কারন, প্রথম যাচ্ছি দার্জিলিং। দার্জিলিং শহরটা সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৭১০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। আমাদের গাড়ি চলতে থাকল। এক বাঁকের পর আরেক বাঁক। এভাবে চলতে চলতে আমরা রাস্তার মাঝে বিরতী নিয়ে চা নাস্তা করলাম। আর পাহাড়ের সারি সারি চা বাগান উপলব্দি করলাম। সেই সাথে সেখানকার আদিবাসীদের জীবন-জীবিকা কিভাবে বসবাস করছে যা যুগ যুগ ধরে তা উপলব্দি করলাম।


আমাদের গাড়ি প্রায় সন্ধ্যা সময় দার্জিলিং শহরে ডুকল। আমরা আমাদের ব্যাগ নিয়ে সোজা চলে গেলাম। যেখানে ধর্মীয় প্রগ্রাম আছে সেখানে। শিলিগুড়ি টাউন থেকে দার্জিলিং শহরে যেতে সময় লাগে আড়াই থেকে তিন ঘন্টা। পুরো সময়টা কিন্তু পাহাড় বেয়ে আসতে হয়।

দার্জিলিংয়ে গৌধুলি বেলার সময় ।
রাতের সময়
যখন গাড়ি থেকে নামলাম। ঠান্ডা কি রকম অনুভব করলাম। প্রচুর ঠান্ডা। আমরা সাত পাঁচ না ভেবে সোজা মন্দিরে ডুকে গেলাম। সেখানে কম্বল জড়ায়ে আমরা শীত থেকে বাচার চেষ্টা করছিলাম। পরে আমাদের জন্য চা আর নাস্তা চলে আসল। তবে সেই আগে গৌধুলী বেলার কিছু ছবি তুলেছিলাম। নাস্তা খেয়ে আমার রুমে বসে ছিলাম। আমরা পাঁচ জনে গল্প করছি। আর ঠান্ডার কথা বলছি। এখানকার মানুষ কিভাবে থাকে আমরা চিন্তা করতে ছিলাম।

তারপর রাত ৮ টা দিকে আমাদের রাতের খাবার পরিবেশন করা হল। অনেক স্বাদ ছিল তরকারি গুলো। কিন্তু একদম নরম্যাল খাবার। কারন, দার্জিলিং সব কিছু জিনিসের দাম বেশি। খেয়ে দেয়ে আমরা সোজা ঘুমে চলে গেলাম। তারপর ভোরে ঘুম থেকে উঠে বাইরে অবস্থা একটু দেখে ছিলাম। বাহ্ বাইরে কি ঠান্ডা সেই ঠান্ডার পরেও স্মৃতি স্বরুপ কিছু ছবি তুললাম। 

আমার যেখানে ছিলাম সেখান থেকে কাঞ্চন জঙ্গ্যা পর্বত দেখা যায় স্পষ্ট ভাবে। আর সকালে আবহাওয়াটা অন্য রকম। যা বাস্তবে না দেখলে বুঝতে পারবে না। সবাই ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে হাতমুখ ধুইয়ে সকালে নাস্তা করলাম। এরপর আবার রুমে গিয়ে ধর্মীয় প্রগ্রামে অবস্থিত হওয়ার জন্য প্রস্তুতি ছেড়ে নিয়ে আবার সকাল সকাল বের হলাম।

দুর থেকে কাঞ্চন জঙ্গ্যা
এরপর আমরা প্রায় সক কিছু দেখার সুযোগ হল। দার্জিলিং শহরে টয় ট্রেনটা খুবি আকর্ষনীয়। টয় ট্রেনে ভ্রমনের সুযাগ হয় নি। কিন্তু দেখার সুযোগ হয়েছে। তারপর দার্জিলিং রাস্তা ঘাট দোকনাপাত।

সকাল বেলা
আপনি দার্জিলিংয়ে আসলে মনে করবেন কোন ইউরোপ দেশে আসছেন। সব কিছুর মিল আছে ইউরোপ দেশের মত। সকাল বেলা সবাই যার কাজে সেই বের হয়। কারোর দিকে কারোর চাওয়ার সময় নেই। সবাই যার  যার কাজে ব্যাস্ত। এরপর আমরা সবাই মিলে কিছু ছবি তুললাম। আর কাঞ্চন জঙ্গ্যা দুর থেকে দেখলাম। 

ঘুরে অনুষ্ঠান যোগদান করে সোজা চলে আছি শিলিগুড়ি শহরে। সব জায়গা ঘুরে বেড়ানো সুযোগ হয় নি। কারন, আমাদের সময় খুবি কম ছিল। যা দেখার সুযোগ হয়েছে। পরবর্তীতে আরো সব কিছু ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ হবে।

রাস্তা ঘাটের অবস্থা
দার্জিলিংয়ে দেখলাম মানুষ কিভাবে পরিবেশের সাথে তাল মিলেয়ে সুন্দর পরিবেশ তৈরি করেছে। প্রত্যেক দিন কম করে হলেও হাজার দুয়েক পর্যটন ঘুরতে যায়। আসলে দার্জিলিং একটা সুন্দর জায়গা। আপনারা চাইলে ঘুরে আসতে পারেন তো। ভিডিও দেখতে পারেন-   traveling Darjeeeling

Sunday, May 13, 2018

নতুন যুগের ইন্টারেন্ট- আসক্ত ছেলে মেয়ে

আমরা বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির মহাসড়কে যুগে বাস করছি। ছেলেমেয়েদের আসক্তি এখন শুধু টেলিভিশন, ভিডিও এবং সেলফোন এর প্রতি নয়, ইন্টারনেটেও ওদের প্রবল আসক্তির সৃষ্টি হচ্ছে। এটা অনস্বীকার্য যে এই ধরনের মাধ্যমগুলো ব্যবহারে লাভক্ষতি দুটোই আছে। আর তা নির্ভর করছে ব্যাবহারের উপর। ওসব মাধ্যমের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে আমরা যদি অভ্যাস্ত না হই, তাহলে শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই ওসব বস্তর দাসত্ব মেনে নেবে। বয়ঃসন্ধিকালের ছেলে মেয়েদের হাতে এল, মানা সত্ত্বেও ওসবের প্রতি আকর্ষন ততোধিক বেড়ে যাবে। এই মাধ্যমগুলোর ব্যবহারে বাধা নেই, কিন্তু কখন কতটা সময় ধরে ওসবের ব্যাবহার হবে না তা নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। যেমন উদাহরনস্বরুপ বলা যেতে পারে, ইন্টারনেটে কখন বসবে, কখন লেখাপড়া করবে, কখন নামায ও প্রার্থনা করবে।

ছেলে মেয়েদের বলে দিবেন কখন ইন্টারনেটে বসবে কখন টেলিভিশন দেখবে। আসল কথা হচ্ছে , রাত জাগা কিছু না করে। দেরীতে ঘুমোলে ছেলেমেয়েরা সকালে উঠবেনা। বকাবকি করতে হবে ওঠার জন্য। ফলে ঘুম থেকে উঠে কটুবাক্য করতে হবে, ছেলেমেয়েরা মুখে মুখে তর্ক করতে শিখবে। অধিকন্তু ফন্দিফিকির করতে হবে এবং মিথ্যা কথা বলতে কুন্ঠিত হবে না।

সময়-শৃঙ্খলা মেনে চললে স্কুলের লেখাপড়াও ভালো করতে উৎসাহ বোধ করবে। বড়ো হলে, আরও সময়নিষ্ঠ হবে, যথাযথ আচরন করবে এবং কথায় কথায় মেজাজ দেখিয়ে রুঢ় আচরনে প্রবৃত্ত হবে না।

সময় মেনে চলার ফলে অনেক পরিবারের ছেলেমেয়েরা টেলিভিশন ইন্টারনেট জনিত সমস্যা থেকে মুক্ত হয়েছে।

একটি পরিবারের কথা আমরা জানি। এ পরিবারের কর্ত্রী একজন অধ্যাপিকা ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক মহলে তার যথেষ্ট সুনাম আছে। তিনি সবার প্রিয় িএবং সকলেই তাঁকে শ্রদ্ধা করেন। তাঁর স্বামী লেখাপড়া চালিয়ে যাবার জন্য বিদেশে অবস্থান করেছেন। স্ত্রী তিন ছেলে মেয়ে নিয়ে ঘর সামলাচ্ছেন। এদের দেখাশোনার জন্য ভাইকে সঙ্গে তাদের সাথে থাকতে বললেন। ছেলেমেয়েরা বেশ মেধাবী, কিন্তু স্কুলে তাদের ফলাফল ভালো নয়। ভাইটি বুঝতে পারছেন না কেন এমনটি হচ্ছে। তাই কারন অনুসন্ধান তৎপর হলেন। তিনি কারন খুঁজে পেলেন রাত জেগে টেলিভিশন দেখার ফল এটি। বোনকে জানালেন ব্যাপারটি।

তারপর ব্যাবস্থা নেয়ার পরে তাদের স্কুলের চূড়ান্ত পরীক্ষায় তিনজনই স্ব স্ব ক্লাসে শীর্ষস্থান লাভ করলো। তাহলে দেখা যাচ্ছে লেখাপড়া, ঘুম ও শয্যাত্যাগ নির্দিষ্ট সময় মেনে করলে স্কুলের সেরা ছাত্র-ছাত্রী হওয়া এবং সিদ্ধান্ত গ্রহনের দূরদর্শিতার পরিচয় দেখা যায়। অনেক ছেলেমেয়ে কোনটি ঠিক কোনটি ঠিক নয় হয়তো বুঝতে পারে কিন্তু নীতি বিগর্হিত কাজ থেকে বিরত থাকতে পারে না। বড়ো হলে সমাজ অনেক সমস্যার জনক হয় এরা। শৈশবে এদেরকে যাচ্ছেতাই করার মনোভা ত্যাগ করে সঠিক কাজটি করার মানসিকতা অর্জনের কোন শিক্ষা দেয়া হয়নি, যেমন ঘুমানোর সময় হলে ঘুমুতে জন্য টেলিভিশন দেখা থেকে বিরত হতে হয় এ নিয়ম শিক্ষায় ওদের অভ্যাস্ত করা হয়নি।

যে সব পরিবারে নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে সময়ের সদ্ব্যবহার করা হয় সে সব পরিবারের ছেলেমেয়েরা সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি ঝটপঠ সেরে ফেলতে পারে। কোন দ্বিধা কিংবা দুর্বলতা বা অন্যমনস্কতা রাধা হয়ে দাঁড়ায় না, কারন যুথোপযুক্ত শিক্ষালাভের সুযোগ ওরা পাই। এই মানব সম্পন্নতা অর্জনের ফলে ওরা খুঁটিনাটি চিন্তাভাবনা, সুষ্ঠু নীতিমালা, সঠিক জ্ঞান এবং সঠিক প্রণালীতে খুঁটিয়ে দেখে উপস্থিত সমস্যার সমাধান করতে পারে। ভবিষ্যতে ওরা সমাজে চৌকস ব্যাক্তি হিসেবে পরিচিতি পাবে। যে কোন কাজ সম্পাদনে দক্ষতার পরিচয় দিতে সক্ষম হবে।

Sunday, March 18, 2018

আদিবাসীরা কেন দেশান্তরী হচ্ছে?


বাংলাদেশে অনেক আদি জাতি সত্ত্বা আছে। আমরা যাকে আদিবাসী, ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্টি বা উপজাতি বা পাহাড়ি বলি। যাদের অধিকাংশ বাস করে পার্বত্য চট্টগ্রামে। এর পাশাপাশি সিলেট, বরিশাল, ময়মনসিংহ আরো অনেক জায়গায়। যারা অত্যান্ত সংখ্যায় কম। যেমন- পার্বত্য চট্টগ্রামে বাস করে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, খিয়াং, খুমী, বম, ম্রো ইত্যাদি আদিবাসী। আর যারা সমতলে বাস করে তারা যেমন- গারো, খাসিয়া, মুনিপুরি, বরিশালে রাখাইন সহ নানা ধরনের আদিবাসী।


সেই সাথে তাদের সব কিছুর নির্দিষ্ট স্বতন্ত্র সংস্কৃতি, ভাষা, কৃষ্টি আছে। যে গুলো দিয়ে আদিবাসীরা হাজার হাজার বছর ধরে লালন পালন করে আসছে। কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে তার রুপ বদলে যায়।

প্রত্যেক দিন, প্রত্যেক সপ্তাহ, প্রত্যেক মাস এবং প্রত্যেক বছর এই দেশের আদিবাসীদের উপর নেমে আছে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, ভূমি দখল, ধর্মান্তরিত, জাতি গত বৈষম্য স্বীকার সহ যত প্রকার অমানবিক কর্মকান্ড গুলো।

বরিশালে যেখানে হাজার হাজার রাখাইন পল্লী ছিল আজ সেখানে শততে নেমে এসেছে। আর পার্বত্য চট্টগ্রামে যেখানে আদিবাসী সংখ্যা ৯৯% ছিল আর বাঙালি ছিল ১% । আজ তা নেমে ৫০% নেমে এসেছে। কয়েক বছর থাকলে সংখ্যাটা উল্টো হয়ে যাবে।

যখন কোন ধর্ষন বা অগ্নি সংযোগ ঘটনা ঘটে তার তো কোন সুবিচার করে না। স্থানীয় প্রশাসন বরং সেই জ্বলন্ত আগুনে ঘি ঢেলে দেয়ার ব্যাবস্থা করে। তাই ঘটে যায় বড় বড় সাম্প্রদায়িক ঘটনা।
তার প্রতিকার তো হয় নি। বরং যারা শান্তির জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম তথা যেখানে আদিবাসী সম্প্রদায় আছে সেখানে শান্তিরক্ষীরা ভক্ষক হয়ে রুপ নেই।

তখন সেই আদিবাসীদের এই দেশে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা দেখে না। বরং বাধ্য হয়ে দেশান্তরি হওয়ার চিন্তা করে। যেখানে গেলে আশ্রয় পাওয়ার কথা সেখানে উল্টোটা লাভ করলে অবশ্যই সেই সব সহজ সরল মনে দেশান্তরী ভাবনাটা উন্নত হওয়া স্বাভাবিক।

যেখানে প্রতিনিয়ত নিজের কোন নিরাপত্তা নেই। যেখানে প্রতি নিয়ত ধর্ষন হওয়ার ভয় থাকে। যেখানে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করার অধিকার নেই। যেখানে প্রতি নিয়ত জায়গা হারানোর ভয় থাকে। সেই দেশে থেকে লাভ কি?

যেখানে নাগরিক অধিকার নেই। সেখানে বেঁচে থেকে লাভ নেই। তাই আমাদের আদিবাসীরা দেশান্তরী হওয়ার চিন্তা করছে।  কিন্ত দেশান্তরী হলে কি সেই সুখ লাভ করবে?

Saturday, October 21, 2017

পরিবার প্রানকেন্দ্র (The Heart Of the Family)


পরিবারের প্রাণ বা মূল ব্যাক্তি নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলে সে পরিবারের মুত্যুও অনিবার্য, অবশ্যম্ভাবী। একই বাড়ীতে সদস্যরা যতই নড়াচড়া করুক না কেন, তারা আসলে মৃত। বিয়ের সবচেয়ে বড় পাওয়া হলো একটি সুস্থ, সবল, আনন্দময় প্রীতিময় পরিবার জীবন।

কিন্তু পরিবার গঠনে সবচেয়ে জরুরী বিষয়টি কী? পরিবার জীবন সূচনার আগে বিষয়টি বুঝে নেয়াই দু’জন প্রেমাসক্ত নরনারীল বড়ো দায়। পরবর্তী বিষয়গুলো পরিবারের জন্য অত্যাবশ্যক। যিনি বিয়ে করতে চান, যিনি সন্তান চান, যনি স্বামী বা স্ত্রী চান, তাকে বিষয়গুলো গভীরভাবে অনুধাবন করতে কিংবা বুঝতে হবে। কারন পরিবারের যে সব সমস্যা উদ্ভব হয়।

পরিবারের কিছু নির্দিষ্ট ধাঁচের সমস্যা: (A Family's Typical Problems)

বিয়ের আগে থেকেই পুরুষ/স্ত্রীর মধ্যে কোননা কোন কিছু্না কিছু খুঁত বা ক্রুটি থাকতে পারে। তাই দুজন স্ত্রীপরুষ মিলে যখন দাম্পত্য জীভন/পরিবার জীবনের সূচনা করে, তখন এ খুঁতের কারণে উদ্ভুত সমস্যা তারা এড়িয়ে যেতে পারেন না। গৃহীনীতি  এর মূল উপাদান চারটি। যথা- 

১. সত্যনিষ্ঠা
২. আত্মসংযম
৩. সহনশীলতা
৪. ত্যাগস্বীকার

 এগুলো  যে কোন একটি না থাকলে নীচের এক বা একাধিক সংকটে পড়তে হবে।

১. সন্দেহের কাঁটা
২, বিচার-বুদ্ধিহীনতা, সংসারের (পরিস্থিতি) সংগে, লোকজনের সংগে, খাপ খাওয়াতে না পারা অথবা কিলেসের মধ্যে ডুবে যাওয়া বা ক্লেদাক্ত জীবনে অত্মসমর্পন
৩. পরিবারের প্রতি অনীহা
৪. আত্মপরায়নতা (স্বার্থপরতা)

পরিবারে এ চারটি বড়েো সমস্যা যাতে দেখা না দেয় সে চেষ্টা করাই উত্তম। সমস্যাগুলো দেখা দেবার আগেই তাড়াতাড়ি মিটিয়ে ফেলতে হবে যেন সেগুলো প্রকট হতে না পারে। এই সমস্যাগুলো বড়ো হতে হতে এমন পর্যায়ে ফেছে যখন সেগুলো নাছোড়বান্দা এবং অন্তহীন মনে হবে।

(চলবে)

Wednesday, October 18, 2017

বিবাহিত জীবনের প্রত্যাশা (Expectation in Marrage)

বিবাহিত জীবনে যে সত্যটি সরাসরি উদ্ঘাটিত হয়, তাহলে আত্মপ্রত্যয়ের ঘাটতি। দম্পতি স্থিরনিশ্চিত হতে পারেন না, তারা নিজেরা চলতে পারবেন কিনা। আত্ম প্রত্যয়ের ঘাটতি হলে েএই আশা াখতে পারেন যে জীবনে বহু ব্যাপারে আপনাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে কেউ না কেউ এগিয়ে আসেবেন।

বিয়ের পর দম্পত্তি পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল থাকবেন এটাই প্রত্যাশা করেন। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে প্রত্যাশা পূরন হয় না- ওবাবে সহানুভূতিশীল হন না কিংবা হতে পারেন না । বিপরীতমুখী হয় তাদের আচার- আচরন

কেউ বিয়ে করেন সুন্দরী মেয়ে দেখে। কিন্তু দিনের চব্বিশ ঘন্টাই রুপের চাকচিক্য বজায় রাখা যায় না। রুপলাবন্য টেকেনা বেশি দিন। যদি কেবল বাইরের রুপ লাবন্যের আকর্ষনটাই বড় হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে লাবণ্য কমে গলে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

সুন্দর আচার -ব্যবহারে  ‍মুগ্ধ হয়ে কেউ কেউ সঙ্গী বা সঙ্গিনী বেছে নেন। বরাবর ভদ্র নম্র থাকবেন। এই চিন্তাইতো ভূল। দিনের চব্বিশ ঘন্টাই চমকপ্রদ ব্যবহার আশা করা যায় না। এটাই তো সত্য
সঙ্গী  বা সঙ্গিনী নির্বাচনে যদি বসে বসে  খেতে পারবো, এটাই ভিত্তি হিসেবে ধরি, তাহলে পরষ্পরের উপর নির্ভরতায় চিড় ধরলে শুরু হবে খিটিমিটি কিংবা মামলা মোকদ্দমা পেছনে ছুটাছুটি। এই সংকটের প্রেক্ষাপট থেকেই সৃষ্টি হয়েছে এই প্রবাদটি: অতি লোভে তাঁতী নষ্ট।

নিজের পায়ে দাড়াবো: এটাই হতে হতে হবে বিয়ের আগের মানসিকতা।
বিয়ের পর অনেক ব্যাপারে একে অন্যেরে মুখাপেক্ষী হতে হবে। কিছু কিছু ব্যাপার আছে যেখানে সবুরে মেওয়া ফলে আর কিছু ব্যাপার আছে যেখানে ধৈর্যের চাইতেও বেশি প্রয়োজন জ্ঞান, নৈপুন্য ও নৈতিক বল যা বিকশিত হয়েছিল বিয়ের পূর্বেই।

এ ছাড়াও এমন অনেক কাজ এসে পড়বে যা আগে কখনও করতে হয় নি। এ কাজের ফলাফল ভালো মন্দ কী হবে তাও জানার উপায় নেই। নবজাতকের মাতা-পিতা হিসেবে এর সত্যতা যাচাই করা যায়। শিশুটির কিছু করার সাধ্য নেই- মা-বাবাকেই করে দিতে হয় সবকিছু। শিশুটি বড় হয়ে নিজের পায়ে দাড়াবে এ ক্ষেত্রে মা-বাবার শিশুপালন জ্ঞান, দক্ষতা এর ধৈর্য এর প্রভূত পরীক্ষা হয়।

কাজেই কেবল অন্যপক্ষের উপরই নির্ভর কর থাকতে পারবো, বিয়ের আগে থেকে সে আশা করে থাকাটা ভূল। আপনি চাইছেন অন্যপক্ষ করুক সবকিছু, কার্যত দেখবেন অন্যপক্ষ বেশী চাপ দিচ্ছেন আপানার উপরই।

Friday, June 30, 2017

কষ্টে অর্জিত সম্পদ চারটি কারনে নষ্ট হয়ে যায়


মানব জীবন হচ্ছে খুবই দুর্লব জীবন। মানুষ জন্ম গ্রহন করার পর তকে সমাজের সাথে চলন ফিরন করতে হই।  কারন, মানুষ সামাজি জীব। যদি কেউ পারিবারিক ভাবে সুখী হতে চাই তাহলে তাকে সামাজিক ভাবে সুখী হতে হবে। আর যদি সমাজ সুখী হয় তাহলে গ্রাম সুখী হবে। গ্রাম সুখী হলে একটি ইউনিয়ন সুখী হবে। এভাবে একটি দেশ সুখী হতে পারে। বর্তমান সময়ে মানুষ খুব নিজেকে দুঃখী মনে করে। কিন্তু কি কারনে নিজেকে দুঃখী মনে করে সেই নিজেই জানে না। তাই সবার আগে প্রয়োজন যথা লাভে সন্তুষ্ঠ। কারন, মানুষের মনের মধ্যে যে লোভ লালসা বেড়ে গেছে এই রকম চললে সামনে আর দুঃখ ভোগ করতে হবে। তাই প্রত্যেক মানুষের চারটি জিনিস অবশ্যই বর্জন করতে হবে। তা না হলে পারিবারিক ভাবে সে সুখী হতে পারবে না। 

১. মদ খাওয়া,
২. জুয়া খেলা,
৩. পর নারীর প্রতি আসক্ত (পরকীয়া),
৪. অসৎ বন্ধুর সাথে মেলামেশা,

এই চারটি জিনিস যে পুরুষ বর্জন করতে পারবে সে পারিবারিক ভাবে সুখী হতে পারবে। এবং তার কষ্টে অর্জিত টাকা কোন দিন সহজে নষ্ট পারবে না।

Tuesday, June 13, 2017

রাঙ্গামাটি মাটি চাপায় ৩০-৩৫ জনের মৃত্য!

অতি বর্ষনে পাহাড় ধসের করুন । চিত্র-  সুত্র- ফেসবুক

দেশের উপর বয়ে যাওয়া মেঘের কারনে সেব জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে। তানা ২/৩ দিন ধরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে ও বন্দর নগরী চট্টগ্রামে। বর্তমানে আবহাওয়া অফিস সব বন্দর গুলোকে ৩ নাম্বার সংকেত বলৎবট রেখেছে। আবহাওয়া অফিস বলছে এই ধারাই আরো দুই তিন দিন বৃষ্টি হতে পারে।
মাটি চাপায় মারা যাওয়া আদিবাসী নারী ।সুত্র-ফেসবুক
রাঙ্গামাটিতে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ার কারনে আজ সকাল থেকে পাহাড় ধস নামতে শুরু করে। রাঙ্গামাটি শহরের সব এলাকায় প্রায় মাটি ধস নামে। তাই এই সময় বাড়িতে থাকা মানুষ গুলো মাটির চাপা পড়ে মৃত্যু বরন করে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা উল্লেখ করেছেন। মাটির নিচে এখনো অনেক মানুষ আটকা পড়ে আছে। বেসরকারি ভাবে প্রায় বর্তমান মৃতের সংখ্যা ৫০-৬০ উপরে হবে। এই সংখ্যা বাড়তেও পারে বা কমতে পারে।



স্থানীয় জনগন অভিযোগ করছে স্থানীয় প্রশাসনকে। যদি প্রশাসন আগে ভাগে জানিয়ে দিত যে পাহাড় ধসের হওয়ার সম্ভবনা আছে। তাহলে লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ে আশ্রয় গ্রহন করতে পারত। আর এই দিকে প্রশাসন বলছে লোকজনকে আগে ভাগেই সব কিছু বলা হয়েছে। তারা নিরাপদ আশ্রয়ে যায় নি বলে এত হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

শহরের মানুষ এমন বৃষ্টি কোন দিন দেখেনি। বেশির ভাগ মানুষ প্রানহানি হয়েছে পেীরসভাস্থ ভেদভেদী এলাকায়। এখানে ৩০-৩৫ জন মানুষ মারা গেছে। শুধু ভেদভেদি নই রাঙ্গামাটি শহরের প্রায় সব জায়গায় পাহাড় ধস হয়েছে। তাই স্থানীয় প্রশাসস সবাইকে নিরাপদ স্থানে থাকার আহবান জানিয়েছে।


অতি বর্ষনে পাহাড় ধসের করুন চিত্র ।  সুত্র- ফেসবুক

দার্জিলিং ঘুরে আসা নতুন অভিজ্ঞতা

কয়েক দিন যাবৎ মন মানসিকতা তেমন কোন ভাল ছিল না। আর সেই ফাকে কোথাও যাওয়া হচ্ছে না। এই রকম চিন্তা করতে করতে। হঠাৎ আমার ফোন বেজে উঠল। দেখি আ...